সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি: বাংলাদেশে গত কয়েক দশক ধরে দ্বিদলীয় শাসনের বৃত্তে আটকা পড়েছে দেশর জনগণ। ক্ষমতার পালাবদলে এককেন্দ্রীকরণ বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বৈরতান্ত্রিক শাসনও দেখেছে দেশের মানুষ। এ সময় কম বিতর্কিত নির্বাচনে যে দল বা জোটই সরকার গঠন করেছে, তাদের কেউই ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশর বেশি ভোট পেয়ে সরকার গঠন করতে পারেনি। অন্যদিকে ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ মানুষ যারা ভোট দিয়েছে সংসদে ও সরকারে তাদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি।
এমন প্রেক্ষাপটে সংসদে সবার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা শ্রেয় মনে করছেন রাজনীতিক ও বিশ্লেষকদের কেউ কেউ। তারা মনে করেন, সংসদে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি চালু করা গেলে দ্বিদলীয় পদ্ধতি থেকে বের হওয়া সম্ভব। কোনো দল জাতীয় নির্বাচনে যত শতাংশ ভোট পাবে, সংসদে তারা সেই অনুপাতে আসন পাবে।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা ৩০০। এসব আসনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে ভোট হলে প্রতি ১ শতাংশ ভোটের জন্য তিনটি আসন পাওয়া যাবে। যে দল ৫০ শতাংশ ভোট পাবে, তারা সংসদে আসন পাবে ১৫০টি।
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি
ভোটের সংখ্যা | সংসদ সদস্য |
---|---|
০.৩৪ শতাংশ | ১ জন |
১ শতাংশ | ৩ জন |
১০ শতাংশ | ৩০ জন |
২০ শতাংশ | ৬০ জন |
৫০ শতাংশ | ১৫০ জন |
কোনো দল বা জোটের সরকার গঠন করতে ৫০.৩৪ শতাংশ ভোট প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় পত্রিকার খবর সবার আগে পড়ুন: বাংলা সংবাদ শিরোনাম – Bangla News Headlines